Sunday, December 24, 2017

ঝর্নার নাম ক্রাংসুরি

ঝর্নার নাম ক্রাংসুরি। অসাধারণ এই ঝর্নাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অবস্থিত । যাওয়া খুবই সহজ। সিলেটের তামাবিল বর্ডার দিয়ে যারা ভিসার এন্ট্রি পোর্ট নিয়েছেন তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সময় বাঁঁচবে অনেক, কারন বর্ডার ক্রস করে মাত্র এক ঘন্টার ট্যাক্সি জার্নি। ট্যাক্সি ভাড়া সুনির্দিষ্ট নয়। দরদাম করে নিতে হবে নিজেকেই। যদি চার জন যান তবে সবচেয়ে ভাল হয়। আমরা ভাড়া করেছিলাম ১৫০০ টাকায়। সাথে ছিল আরো ৩/৪ টি অসাধারণ স্পট। বর্ডার ক্রস করে ডাউকি শহরে যাবেন। যেতে জনপ্রতি ১০ রুপি। সেখান থেকেই ট্যাক্সি পাবেন।
রুট- ঢাকা- সিলেট - তামাবিল বর্ডার - ডাউকি- ক্রাংসুরি ঝর্না।

 Jharna's name is Crow This tremendous fountain is located in the Indian state of Meghalaya. Going is very easy. The Tamabil Border in Sylhet, the visa entry port is the easiest and time-consuming for many, because the crossing of the border crosses just a one-hour taxi ride. Taxi fares are not specific. You have to take pride in yourself. If four go, it is best. We hired 1500 rupees. With 3/4 extraordinary spots. Cross the border and go to the town of Dauki. Go 10 rupees per person. Get the taxi from there.
Route - Dhaka - Sylhet - Tamabil Border - Dauki - Kanshuri Jharna.

Wednesday, December 20, 2017

নিঝুম দ্বীপ (The silent island)

নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে অনেকেই জেনেছেন কারো কারো হয়তো যাবার সৌভাগ্যও হয়েছে। সৌভাগ্য কেন বললাম তা সেখানে না গেলে আমি ওষুধ দেই কাজে আসবেনা যতক্ষন না নিঝুম হাসপাতালে গিয়ে মনের চিকিৎসা না করাবেন।
নিঝুম দ্বীপকে অনেকেই অনলাইনের তথ্য আর রিভিও দেখে ছোট্ট একটা দ্বীপ মনে করেন কিন্তু মনে রাখবেন অনলাইন আর বাসের লাইন দুটোই ভিন্ন একটি কল্পনা আর অন্যটি বাস্তবতা।
যারা সুন্দরবনকে একটি ব্যয়বহুল জায়গা মনে করেন তাদের জন্য নিঝুম দ্বীপ উত্তম জায়গা। এখানে আপনি সুন্দরবনের ফ্লেভার পাবেন। প্রচুর হরিনের দেখা পাবেন(কপাল ভালো হলে) তবে যতই কাইন্দা বুক ভাসান না কেন এখানে বাঘের দেখা পাইবেন না(কপাল ভালো হইলেও না)।
এখানে বীচ পাবেন, বন পাবেন, ওয়াচটাওয়ার, নদী খাল সাগর সব পাইবেন। প্রচুর তাজা মাছ পাইবেন। খেজুরের রস পাইবেন।
খাবার দাবার:- এখানে খাবার তুলনামূলক সস্তা। টেংরা, ইলিশ, রুই, কোরালসহ বিভিন্ন তাজা মাছ(অবশ্যই রান্না করা) খেতে পারবেন। যারা মাছ খান না তারা দেশি মুরগী আর হাসের মাংস খেতে পারেন। ভাত এখানেই চাষ করা চালের (মোটা ভাত)। কেউ যদি বাসমতি খেতে চান তবে পকেটে করে নিয়ে আসবেন। ভুলেও হরিনের মাংস খেতে চাইবেন না তাইলে আপনাকেই স্থানীয়রা হরিন বলে চালিয়ে দিতে পারে। সন্ধ্যায় বাজারে জিলেপী ভাজা হয় গরম গরম খেতে পারেন তবে হিসেব রাইখেন কয়টা খাচ্ছেন মজায় অনেকে কাউন্ট করতেই ভুলে যায়। খেজুরের রস খেতে পারেন তবে আমি রাতে নিজে গিয়ে চেক করে দেখছি তারা ঢাকনা ছাড়াই গাছ থেকে রস কালেক্ট করে তাতে বাদুর বা অন্য নিশাচর পাখি ইজিলি মুখ দিতে পারে আর তা থেকে নিপাহ ভাইরাসে আপনি চীতপটাং হতে পারেন। তাই রস খেলে নিজের ঝুঁকিতেই খাবেন আপনার কিছু হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী না।
থাকার ব্যবস্থা:- বেশ কিছু রিসোর্ট আছে মোটামুটি মানের। সরকারী বা টানা বন্ধের সময় বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভালো তবে স্থানীয় লোকজন বেশ হেল্পফুল আপনার থাকার একটা ব্যবস্থা করবেই তবে খরচ করতে হবে কিছু এই আর কি। এছাড়া তাবু নিয়ে গেলে ক্যাম্পিং করতে পারেন কেউ ডিস্টার্ব করবেনা কুয়াশা ছাড়া।
যাতায়াত:- এই একটা যায়গায় নিঝুম দ্বীপের নামকরনের সার্থকতা খুজে পেলাম না। পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে নোয়াখালির চেয়ারম্যান ঘাট আসুন সেখান থেকে ট্রলার, স্পীডবোট বা সী ট্রাকে করে নলচিরা ঘাট হাতিয়া(জনপ্রতি ট্রলার ১৫০, স্পীডবোট ৪০০, সী ট্রাক ৯৩টাকা)। সেখান থেকে সড়ক পথে বাইক, সিএনজি বা চান্দের গাড়িতে চান্দের পথে মানে মোক্তারিয়া ঘাট(বাইক ৬০০টাকা, সিএনজি ১২০০টাকা, জীপ জনপ্রতি ১২০-১৫০)। আপনি চাইলে নলচিড়া ঘাট বা নোয়াখালি চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে ডিরেক্ট নিঝুম দ্বীপ যেতে পারেন তবে সেটি বেশ ব্যায়বহুল বড় টিম না হলে পোষাবেনা। মোক্তারিয়া ঘাট পৌঁছানোর পর বোটে নদী পার হয়ে(জনপ্রতি ৪৫টাকা) নিঝুম দ্বীপ ঘাট তারপর সেখান থেকে বাইকে চড়ে (প্রতি বাইক ১০০টাকা) নামার বাজার। তবে একটি কথা নলচিড়া থেকে মোক্তারিয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তা খুব খারাপ ওই পথে বাইকে গেলে কিছুটা স্বস্তি অন্যথায় শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসবেন।
পরামর্শ: হরিন দেখতে চাইলে বোট নিয়ে চৌধুরী খাল চলে যাবেন খুব ভোরে অথবা বাইকে চোয়াখালি। কপাল ভালো হলে দেখতে পারেন। এই সিজনে গেলে অবশ্যই শীতের কাপড় নিবেন ওখানে শীত বেশ ভালোই। আর শেষ অনুরোধ জায়গাটা নোংরা করবেন না। ওখানে হরিনের চিহ্নই থাক আপনার চিহ্ন রেখে আসার দরকার নাই।






Some people have been fortunate enough to know about Nijhum Island on social media. If I did not say good luck, I would not come to the medicine if I did not go to the hospital till I went to the hospital.
Many of Nijhum Island see online information and revives to be a little island, but remember that online and bus lines are both a different fantasy and the other is reality.
Nijhum Island is a great place for those who consider the Sundarbans as an expensive place. Here you will find Sundarban flavors. There will be a lot of hare (if you like the forehead) but no matter how tender, the tigers will not meet here (even if the forehead is not good).
Here you will find beech, forests, watchtower, river canal sea all. Get plenty of fresh fish. Get the juice of dates.
Food Chess: - Here the food is relatively cheap. Tengra, Hilsa, Rui, Coral and other fresh fish (of course cooking) can be eaten. Those who do not eat fish can eat native chickens and laughing meat. Rice is the rice (thick rice) cultivated here. If someone wants to eat basmati then you will get it in pocket. Do not forget to eat haren meat, so you can continue to call the locals as the locals. In the evening, the ghee is fried in the market, it can be hot, but how much is the reason why Rikhhen is eating, and many people forget to count. I can drink date palm, but I checked myself by night and saw that they could collect the juice from the tree without lid, and it could give the finger of the bird or other nostrils to the ezilli, and from it you can become a spit in the Nipah virus. So eat your juice at your own risk, the authorities are not responsible for anything you have.
Accommodation: - There are several resorts, fair quality. Whether it is good to book or book at the time of closing, but local people will have a handful of arrangements for you to stay, but you have to spend some of these. Apart from tents, camping can be done without any fog.
Commutes: - I could not find the nomenclature of Nijhum Island in this place. From any corner of the world, come to Noakhali's Chairman Ghat from there to Nalchira Ghat Hatiya (per trawler 150, Speedboat 400, Sea truck 93 taka) by trawler, speedboat or sea truck. From there, the road to Bike, CNG or Chand car means that the route of Chandara is Moktararia Ghat (bikes 600 taka, CNG 1200 taka, 120-150 peals per se). If you want you can reserve the trawler from the Nalchira Ghat or Noakhali Chairman Ghat and go to Direct Nijhoom Island but if it is not a very expensive big team, then you will not have Pachena. After reaching the Moktaria ghat, the boat crossing the boat (Rs 45 each), the Nijhum Island ghat, then the bikes from there (every bike 100 rupees) market. But one thing is that if the road from Nalchira to Moktaria Ghat is bogged down in a very bad way, then there will be some relief, otherwise the joints of the body will return with Joint memories.
Tip: If you want to see the deer, Chowdhury canal with boat will leave in the very early morning or Bai Chawakhali. You can see if the forehead is good. If you want to take winter clothes in this season then there is very good winter. And the last request will not dirty the place. There is no need to keep your marks in the mark of haren there.

Saturday, December 16, 2017

চন্দ্রনাথ মন্দির, সীতাকুণ্ড / chondro nath mondir, shitakundu

একজন বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছা
ইকো পার্কের সহস্রধারা ঝর্নায় গোসল করে গেলাম সীতাকুণ্ড বাজারে দুপুরের খাবার খেতে। খাবার শেষ করে যাত্রা শুরু করলাম চন্দ্রনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। বাজার থেকে অটো রিকশা নিয়ে গেলাম মন্দিরের গেইট পর্যন্ত তারপর হাঁটা শুরু করলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর দোকান পেলাম সেখান থেকে বাঁশ নিয়ে নিলাম। বাঁশ ছাড়া উঠা কষ্টকর আমার দুই বন্ধুও বলছিল বাঁশ লাগবে না কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর ওরা বাঁশ নিতে বাধ্য হলো ১০ মিনিট হাঁটার পর সিঁড়ি পেলাম।যত উপরে উঠছিলাম ততো আরও খাঁড়া সিঁড়ি পাচ্ছিলাম। ভরা পেটে উঠতে সবার কষ্ট হচ্ছিল অর্ধেক সিঁড়ি পার হবার পর আমাদের ৭ জনের দল ভাগ হয়ে গেলো ৩ টি দলে। আমি আর আরেক বন্ধু ছিলাম মাঝের দল। কিছুদূর যাওয়ার পর ছবির এই ৮১ বছরের বৃদ্ধের দেখা পেলাম প্রথম মনে করলাম বৃদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত কিন্তু কথা বলে জানতে পারলাম উনিও আমাদের মতো প্রথম এসেছেন এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই চন্দ্রনাথ মন্দির দর্শন করাই ছিলো তার জীবনের শেষ ইচ্ছা। উনার সাথে একটি ছেলে ছিলো তার হাতে পানির বোতল ছিলো কিন্তু উনি একবারও পানি পান করেন নি এবং আমাদেরও পানি কম খেতে বলছিলেন। বৃদ্ধের সাথে কথা বলে উৎসাহ পেলাম এবং কথা বলতে বলতে উঠে গেলাম মন্দিরে। উঠে যা দেখলাম তাতে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো।একপাশে সাগর একপাশে পাহাড় যা দেখে আমাদের কষ্ট সার্থক ।
যারা যাবেন তাদের প্রতি কিছু উপদেশ হলো-
বাঁশ নিয়ে উঠবেন এবং ভরা পেটে না যাওয়া ভালো কারণ উঠতে অনেক কষ্ট হবে।

যেভাবে যাবেন :
বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে সীতাকুণ্ড বাজার /ফেনী ( ফেনী তে নামলে মহিপাল থেকে বাসে সীতাকুণ্ড বাজার আসতে হবে- ভাড়া ৫০টাকা), এরপর হাইওয়ে থেকে বাজারে নামে অল্প একটু হাঁটলেই কলেজ রোড যেখান থেকে মন্দিরের পাদদেশ পর্যন্ত ১৫টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যেতে পারেন।চন্দ্রনাথ ট্র্যাকিং এর সময় প্রথম যে ঝর্ণা পড়বে সেখানে দুইটা রাস্তা পড়ে একটা ছোট ধাপের সিঁড়ি আরেকটা বড়ধাপের সিঁড়ি। বাম পাশের ছোট ধাপের সিঁড়ি বেয়ে উঠা সহজ।এতে প্রথমে বিরুবাক্ষ মন্দির পড়বে তারপর চন্দ্রনাথ হয়ে ডান পাশের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসলে তাড়াতাড়ি হবে।এরপর সোজা সীতাকুণ্ড বাজারে ফিরে আসুন।১০টাকা ভাড়া দিয়ে চলে যান কুমিরা ঘাট বাজার।সেখান থেকে ১০টাকায় অটোতে করে চলে যান কুমিরা ঘাট।
সতর্কতা :
যত হালকা ব্যাগ নিয়ে উঠতে পারেন তত ভালো, পানি,স্যালাইন আর হালকা স্ন্যাকস সাথে রাখবেন আগ থেকেই।ট্র্যাকিং এর সময় কয়েকটা দোকানে পাওয়া গেলেও গলাকাটা দাম রাখবে।বিশ্রাম নিয়েন কিছুক্ষণ পরপর আর আমলকী রাখতে পারেন সাথে প্রচুর এনার্জি টনিক হিসেবে কাজ করবে। সবচেয়ে বড় কথা ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে যে আপনি পারবেন।


Our Target is   WE WILL REPRESENT  IN  BANGLADESH  TRAVEL PLACE